পুলিশের র্যাংক অনুসারে আইনি ক্ষমতা
বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশ এর প্রধান বা আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন জনাব মোঃ ময়নুল ইসলাম(এনডিসি)। তিনি পদাধিকার বলে এই বাহিনীর সর্বোচ্চ পদের অধিকারী, তবে আইজিপি ছাড়াও বাহিনীতে পর্যায়ক্রমে আরো ১২ টি পদ রয়েছে যাদের মধ্যে কনস্টেবল থেকে ইন্সপেক্টর পর্যন্ত ০৫ টি নন-ক্যাডার পদ এবং ০৮ টি ক্যাডার পদ রয়েছে, যাদের ভিন্ন ভিন্ন দায়িত্বও রয়েছে। ১৩ টি পদের মধ্যে নিয়োগ হয় মাত্র ০৩ টি পদের বিপরীতে যথা কনস্টেবল, এসআই ও এএসপি পদে, অবশিষ্ট পদ সমূহ পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করা হয়। এই বাহিনীর সর্বোচ্চ পদ আইজিপি এবং সর্বনিম্ন পদ কনস্টেবল। সর্বমোট ১৩ টি পদের বিষয়ে নিম্নে র্যাংক ব্যাজ এর ছবিসহ পদমর্যাদা অনুসারে দায়িত্ব ও কর্তব্যের বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করা হলো।
০১। কনস্টেবলঃ কনস্টেবল বাহিনীর সর্বনিম্ন পদমর্যাদার একজন সদস্য। বর্তমানে এসএসসি পাশ যোগ্যতাসহ বিভিন্ন শারীরিক সক্ষমতার উপর ভিত্তি করে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হওয়ার পর ০৬ মাস মৌলিক প্রশিক্ষণ শেষে বিভিন্ন ইউনিটে পদায়ন করা হয়, এই পদটি বর্তমানে ১৭ তম গ্রেড, যার মূল বেতন ৯০০০/-, বাহিনীতে কনস্টেবলগন সর্বোচ্চা সংখ্যাক সদস্য, ট্রেনিং শেষে যোগদান করলে তারা সবমিলিয়ে ১৫,০০০/- + বেতন ভাতা এবং রেশন ও ইউনিফর্ম পেয়ে থাকেন। তারা চাকুরীকালের প্রথমদিকে গড়ে ৮/১০ বছর পুলিশ লাইন্সে স্পেশাল ফোর্স হিসেবে জরুরী ও গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত থাকেন, পরবর্তীতে সিনিয়রিটি হিসেবে পর্যায়ক্রমে থানায় বদলী করা হয়। কনস্টেবল মূলত সকল জায়গায়ই একজন এএসআই/এসআই এর সহযোগী হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। আসামী গ্রেফ তার, নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ সকল কার্যক্রমে তার উর্ধ্বতন অফিসারদেরকে সহায়তা করাই এই পদের মূল কাজ। একজন কনস্টেবল পদোন্নতির মাধ্যমে সর্বোচ্চা এএসপি পর্যন্ত হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
০২। নায়েকঃ নায়েক পদে সরাসরি নিয়োগের কোন প্রক্রিয়া নেই, কনস্টেবল এর চাকুরী ০৩ বছর সন্তোষজনক হওয়ার ভিত্তিতে পদোন্নতি পরীক্ষার মাধ্যমে এই পদে নিযুক্ত করা হয়। এই পদটি বর্তমানে ১৫ তম গ্রেড, যার মূল বেতন ৯৭০০/-, এই পদের মূল বেতন ৯৭০০/- টাকা হলেও এই পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত হওয়ার সময় প্রত্যেকের চাকুরী কাল ৫/৭/১০ বছর বা তারও অধিককাল হয়ে থাকে বিধায় চাকুরীকাল বিবেচনায় এই পদের বেতন তখন ২২-২৪,০০০/- + পর্যন্ত হয়, এছাড়াও রেশন ও ইউনিফর্ম পেয়ে থাকেন। একজন নায়েক বিভিন্ন নিরাপত্তা ডিউটিতে কনস্টেবলের ন্যায় তার উপরের পদের অফিসাদের সহযোগী হিসেবে ও ক্ষেত্র বিশেষ কোন কোন জায়গায় কনস্টেবলদের সমন্বয়ে ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্বপালন করে থাকেন।
০৩। এএসআই/এটিএসআইঃ নায়েক পদের ন্যায় এএসআই পদেও সরাসরি নিয়োগের কোন প্রক্রিয়া নেই, কনস্টেবল/নায়েক পদে সন্তোষজনক চাকুরী ০৬ বছর হওয়ার ভিত্তিতে পদোন্নতি পরীক্ষার মাধ্যমে এই পদে নিযুক্ত করা হয়। এই পদটির পূর্ণ নাম উপ-সহকারী পুলিশ পরিদর্শক, বর্তমানে ১৪ তম গ্রেড, যার মূল বেতন ১০,২০০/-, এই পদের মূল বেতন ১০,২০০/- টাকা হলেও এই পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত হওয়ার সময় প্রত্যেকের চাকুরী কাল ১০/১২ বছর বা তারও অধিককাল হয়ে থাকে বিধায় এই পদের বেতন তখন ৩০-৩৫,০০০/- + পর্যন্ত হয়ে থাকে, এছাড়াও রেশন ও ইউনিফর্ম সুবিধা পেয়ে থাকেন। এএসআইদের মধ্যে ০২ টি শাখা রয়েছে যথা সশস্ত্র এবং নিরস্ত্র, সশস্ত্র ব্রাঞ্চের একজন এএসআই মূলত লাইন্স কেন্দ্রিক বিভিন্ন ইমার্জেন্সি ডিউটি ও নিরাপত্তা ডিউটিতে নিয়োজিত থাকেন, তারা থানায় কাজ করার বা থানায় পদায়িত হওয়ার সুযোগ নেই। অপরদিকে নিরস্ত্র ব্রাঞ্চের একজন এএসআই কোর্ট/থানা/ফাঁড়িতে দায়িত্বপালন করেন। তিনি আইন-শৃঙ্খলা ডিউটির পাশাপাশি গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল, কম গুরুত্বপূর্ণ অনুসন্ধান এবং একজন এসআই এর সহযোগী হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। কোন কোন জায়গায় কনস্টেবলদের সমন্বয়ে নিয়োজিত ডিউটিতে ইনচার্জ হিসেবেও দায়িত্বপালন করে থাকেন। এটিএসআই পদটি আংশিক নিরস্ত্র এএসআই এর ন্যায় ভূমিকা পালন করেন তারা লাইন্সে থাকেন না আবার থানায়ও কাজ করার সুযোগ পাননা, তবে কোর্ট, ফাঁড়ি এবং ট্রাফিকে কাজ করার সুযোগ পান।
০৪। এসআই/সার্জেন্ট/টিএসআইঃ এসআই পদটিকে পুলিশের মেরুদন্ডও বলায় হয়, পুলিশের তদন্ত সংশ্লিষ্ট ৯৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন করে থাকে মাঠ পর্যায়ের এই এসআই পদমর্যাদার কর্মকর্তাগন। এসআই, সার্জেন্ট এবং টিএসআই সমমান পদ, পদটির পূর্ণ নাম উপ-পুলিশ পরিদর্শক যা ১০ গ্রেডের এবং মূল বেতন ১৬,০০০/-, তবে আনুষাঙ্গিক অন্যান্য ভাতা মিলিয়ে নতুন যোগদানকৃত একজন এসআই/সার্জেন্ট সর্বমোট প্রায় ২৮-৩০,০০০/- বেতন পেয়ে থাকেন। এই পদে সরাসরি স্নাতক পাশ যোগ্যতাসহ অন্যান্য শারীরিক শর্ত পূরন সাপেক্ষে নিয়োগ দেওয়া হয় ৫০ ভাগ এবং এএসআই নিরস্ত্র শাখা থেকে পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয় বাকি ৫০ ভাগ। সার্জেন্ট পদে অবশ্য বিভাগীয় পদোন্নতির মাধ্যমে নিযুক্তের কোন সুযোগ রাখা হয়নি, শতভাগই সরাসরি নিয়োগ এর মাধ্যমে নেওয়া হয়। অপরদিকে টিএসআই পদে শতভাগ বিভাগীয় পদে পদোন্নতির মাধ্যমে পদায়িত করা হয়। এসআই পদের মধ্যে এএসআই এর ন্যায় সশস্ত্র ও নিরস্ত্র শাখা রয়েছে, যেখানে কেবল এসআই নিরস্ত্র পদে এএসআই নিরস্ত্র থেকে পদোন্নতির মাধ্যমে নেওয়া হয় অপরদিকে এসআই সশস্ত্র পদে কেবল এএসআই সশস্ত্র থেকেই পদায়িত করা হয়। একজন সশস্ত্র এসআই শুধুমাত্র পুলিশ লাইন্স কেন্দ্রিক ডিউটি পালন করেন। কিন্তু একজন এসআই নিরস্ত্র আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ডিউটির পাশাপাশি মামলা তদন্ত ও আসামী গ্রেফতারের কার্যক্রম করে থাকেন। সমমান পদ টিএসআই শুধুমাত্র ট্রাফিক বিভাগে দায়িত্ব পালন করেন। একজন এসআই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে এবং দেশের প্রচলিত আইন অনুসারে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়ে একাধিক কারণে বিনা ওয়ারেন্টে আসামী গ্রেফতার করতে পারেন। যেগুলোর মধ্যে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৫৪ ধারা, পুলিশ আইনের ৩৪ ধারা এছাড়াও মা/দক আইন, অ স্ত্র আইন, বিষ্ফো রক আইনসহ প্রায় অধিকাংশ আইনে এই বাহিনীকে বিনা পরোয়ানা বা ওয়ারেন্ট ব্যতীত গ্রেফতারের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। একজন এসআই হতে তদুর্ধ্ব পদের সকল কর্মকর্তাগন আইন অনুসারে গ্রেফতার করতে বা করাতে পারেন।
০৫। ইন্সপেক্ট(পরিদর্শক)/টিআইঃ এই পদে কোন নিয়োগ দেওয়া হয়না, পূর্ববর্তী পদ এসআই ও সার্জেন্ট থেকে পদোন্নতির মাধ্যমে এই পদের শূণ্যপদ সমূহ পূরণ করা হয়। একজন পুলিশ পরিদর্শক বা ইন্সপেক্টরকে থানায় অফিসার ইন-চার্জ(ওসি) এবং ফাঁড়ি বা তদন্ত কেন্দ্রেও ইনচার্জ হিসেবে পদায়ন করা হয়। পরিদর্শক বা ইন্সপেক্টর পদটি ৯ম গ্রেড এর নন-ক্যাডার পদ, যার মূল বেতন ২২,০০০/-, এই পদে কনস্টেবল থেকে পদোন্নতির মাধ্যমে পর্যাক্রমে এএসআই ও এসআই থেকে এবং সরাসরি নিয়োগকৃত এসআই উভয় পদ থেকে পদোন্নতি দেওয়ার সুযোগ রয়েছে বিধায় এই পদে পদোন্নতি প্রাপ্তিকালীন একজন কর্মকর্তার চাকুরীর বয়স ১৫ থেকে ৩০/৩৫ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে বিধায় চাকুরীকাল বিবেচনায় তখন এই পদের একজন কর্মকর্তার বেতন ভাতা প্রায় ৫০ হাজার টাকার উর্ধ্বে হয়ে থাকে। ইন্সপেক্টর পদে থাকাকালে ওসি হিসেবে কোন থানায় পদায়ন করা হলে মামলা রেকর্ড এবং অধীনস্থদের কার্যক্রম তদারিকি করাই তার প্রধান কার্যক্রম, ফাঁড়ি বা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ হিসেবে থাকাকালেও তার অধীনস্থদের কার্যক্রমের তদারকি করে থাকেন। তবে থানা ব্যতীত পুলিশের কোন ইউনিটে মামলা রেকর্ড এর সুযোগ নেই, ক্ষেত্র বিশেষ একজন পরিদর্শক বা ইন্সপেক্ট মামলা তদন্ত করে থাকেন। একজন টিআই, ওসি দের ন্যায় একটি নির্দিষ্ট থানা/জোন এর ট্রাফিকের ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
০৬। সহকারী পুলিশ সুপার বা এএসপিঃ এই পদে সরাসরি বিসিএস এর মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। বিভাগীয় পদোন্নতির মাধ্যমে ইন্সপেক্টর থেকে কিছু সংখ্যক পদায়ন করা হয় তবে তা খুবই কম সংখ্যক। সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে বিসিএস এ চূড়ান্তভাবে নিয়োগ প্রাপ্তগন একাডেমি সারদা, রাজশাহীতে ০১ বছর মৌলিক প্রশিক্ষণ শেষ পরবর্তীতে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে আরো ০১ বছর বাস্তব প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন এবং দায়িত্ব পালনের জন্য ইউনিটে যোগদান করেন। একজন সহকারী পুলিশ সুপার বা এএসপি সরকারের ৯ম গ্রেডের ক্যাডার কর্মকর্তা যার মূল বেতন ২২,০০০/- টাকা, সকল ভাতাসহ সর্বসাকুল্য ৩৫-৪০,০০০/- হাজার টাকা পেয়ে থাকেন। এছাড়াও সরকারী গাড়ী ও তৈল এবং ড্রাইভার পেয়ে থাকেন। একজন এএসপি জেলায় সার্কেল অফিসার হিসেবে দায়িত্বপালন করাকালে ২/৩ টি থানার যাবতীয় কার্যক্রমের তদারিককারী অফিসার হিসেবে নিয়োজিত থাকেন ঢাকাসহ অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকায়ও একই ভূমিকা পালন করেন। থানার জিডি, মামলা, ওয়ারেন্ট বা গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিলসহ থানার প্রত্যেক অফিসারের দৈনন্দিন চলাফেলা এবং যাবতীয় কার্যক্রমের হিসাব নিয়ে থাকেন। একজন এসআই বা তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলা তদন্তকালে তদন্তের প্রত্যেকটি বিষয় সার্কেল অফিসারকে অবগত করে থাকেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা গ্রহন করেন।
০৭। সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার বা সিনিঃ এএসপিঃ এএসপি এবং সিনিয়র এএসপিদের কার্যক্রম ও সুযোগ সুবিধা প্রায় একই, ০৪ বছর সন্তোষজনক চাকুরীকাল হওয়া সাপেক্ষে প্রত্যেক এএসপিদেরকে সিনিয়র এএসপি হিসেবে গণ্য করা হয়। এএসপি এবং সিনিয়র এএসপি উভয়ের পদ ও পদায়নযোগ্য কর্মক্ষেত্র একই হয়ে থাকে।
০৮। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বা অ্যাডিশনাল এসপিঃ এএসপি হতে পদোন্নতির মাধ্যমে একজন অতিরিক্ত এসপি নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। তিনি জেলায় দায়িত্বপালনকালে প্রথমদিকে জেলার গুরুত্বপূর্ণ বড় ও পুরাতন সার্কেলে এবং পর্যায়ক্রমে ২-৩ বছর পর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রশাসন, অপরাধ, ট্রাফিক, স্পেশাল শাখাসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে পুলিশ সুপারকে সহযোগীতা করেন। অধিকাংশ জেলায়/জোনে কনস্টেবলদের পদায়ন ও ছুটিসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রশাসন এর দায়িত্বরত অফিসার তদারকি করেন, অনুরূপ ক্রাইম এ দায়িত্বরত অতিরিক্ত এসপি জেলা/জোনের যাবতীয় ক্রাইম সম্পর্কে তাদারকি এবং এসপিকে অবগত করেন। একজন অতিরিক্ত এসপি সরকারের ৬ষ্ঠ গ্রেডের কর্মকর্তা যার মূল বেতন ৩৫,০০০/-।
০৯। পুলিশ সুপার বা এসপিঃ জেলায় সর্বোচ্চ পদাধিকারী ব্যাক্তি পুলিশ সুপার বা এসপি, তিনি জেলা আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সকল কার্যক্রমের প্রধান হিসেবে দায়িত্বপালন করে থাকেন। জেলার প্রত্যেকটি থানাসহ পুলিশি ইউনিটের সকল অধীনস্থদের কার্যক্রমের তদারকি, জবাবদিহিতা, বদলী ও অন্যান্য বিষয়ে দেখাশুনা করে থাকেন। একজন এসপি ৫ম গ্রেডের কর্মকর্তা যার মূল বেতন ৪৩,০০০/- টাকা।
১০। অতিরিক্ত উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক বা অ্যাডিশনাল ডিআইজিঃ একজন অতিরিক্ত ডিআইজি বিভাগ বা রেঞ্জে ডিআইজির সহযোগী হিসেবে দায়িত্বপালন করে থাকেন। তিনি ৪র্থ গ্রেডের একজন কর্মকর্তার যার মূল বেতন ৫০,০০০/- টাকা। একজন অতিঃ ডিআইজি রেঞ্জ ছাড়া র্যাবের একটি ব্যাটালিয়নের প্রধান বা অধিনায়ক হিসেবে এবং এপিবিএন, পিবিআই, সিআইডি, এসবিসহ অসংখ্য ইউনিটে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। তিনি র্যাব ব্যতীত বিভিন্ন ইউনিটে ডিআইজির সহযোগী হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন।
১১। উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক বা ডিআইজিঃ এই পদে একজন কর্মকর্তা একটি বিভাগ বা রেঞ্জের প্রধান বা ডিআইজি এবং মেট্রোপলিটন এলাকায় পুরো মেট্রো এলাকার পুলিশ কমিশনার হিসেবে অধীনস্থ পুলিশের যাবতীয় কার্যক্রমের তদারকি করে থাকেন। বিভাগের অধীনের সকল জেলার এসপি এবং অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের কার্যক্রমের তদারকি, সহযোগীতা ও পরামর্শ প্রদান করেন তিনি। এই পদটি ৩য় গ্রেড। সরকারের ৩য় গ্রেডের একজন কর্মকর্তা বেতন ভাতাদি ছাড়াও একাধিক গাড়ী ও বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন।
১২। অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক বা অ্যাডিশনাল আইজিপিঃ এই পদটি পুলিশের ২য় সর্বোচ্চ পদ, পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট যথা এসবি, সিআইডি, পিবিআই, এপিবিএন, রেলওয়ে, নৌ, টুরিষ্ট এবং ইন্ড্রাষ্ট্রিয়াল পুলিশের মত একাধিক ইউনিট রয়েছে সমগ্রদেশে যেগুলোর প্রধান হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। দেশের অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকায় একজন ডিআইজি পদমর্যাদার অফিসার পুলিশ কমিশনারের দায়িত্ব পালন করলেও ঢাকা মেট্রোপলিটনে একজন অতিরিক্ত আইজিপি পুলিশ কমিশনার এর দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এটি সরকারের ২ গ্রেডের একটি পদ, যার মূল বেতন ৬৬,০০০/- টাকা। তবে অ্যাডিশনাল আইজিপি দের মধ্যে বেশ কয়েকটি পদ রয়েছে যেগুলো ১ম গ্রেডের।
১৩। পুলিশ মহাপরিদর্শক বা আইজিপিঃ আইজিপি বা ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ অথবা পুলিশ মহাপরিদর্শক বাংলাদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ পদ বা তিনি পুলিশের সকল ইউনিটের প্রধান। এই পদটি গ্রেড ১ হলেও এই পদের মূল বেতন ৮৬,০০০/-