বেলের অসাধারন ০৫টি গুনাগুণ
বেল দামে সস্তা এবং মূল্যের তুলনায় অনেক বেশি গুনাগুণ রয়েছে এই ফলে, এক কথায় সাধারন বেলের অসাধারন গুণাগুণ রয়েছে। গরমে এক গ্লাস ঠান্ডা শরবত প্রাণ জুড়িয়ে দেয়। এছাড়াও এতে রয়েছে বহু গুণ। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম। প্রতি ১০০ গ্রাম বেল এ আছে ৮৭ কিলো ক্যালরি, জলীয় অংশ ৭৭.৫ গ্রাম, শর্করা ১৮.৮ গ্রাম, আমিষ ২.৬ গ্রাম, চর্বি ০.২ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩৮ মিলিগ্রাম, লোহা ০.৬ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি-১ ০.০৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি-২ ০.০২ মিলিগ্রাম ও ভিটামিন সি ৯ মিলিগ্রাম। কচি বেল টুকরা করে কেটে রোদে শুকিয়ে পরিমাণমতো বার্লি মিশিয়ে রান্না করে খেলে আলসার দ্রুত ভাল হতে ভূমিকা রাখে। প্রচন্ড ক্লান্তি ভাব দূর হয় এর শরবত খেলে। bael fruit ভিটামিন চোখের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে। শরবত এবং শরবত ছাড়া যেকোন ভাবেই খেলে পেট ঠান্ডা রাখে। পেটের নানা অসুখ সারাতে অত্যন্ত কার্যকর ও খাবার হজম করতে সাহায্য করে। দীর্ঘমেয়াদি ডায়রিয়া ও আমাশয় রোগে নিয়মিত কাঁচা বেল খেলে উপকার পাওয়া যায়। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে খাওয়া যেতে পারে bael fruit। এতে অনেক ফাইবার থাকার ফলে মুখের ব্রণ দূর করে। পাইলস দূর করতেও bael fruit অনেক ভূমিকা রাখে। পাতার রস সর্দি ও জ্বর–জ্বর ভাব দূর করে। শিশুদের বিভিন্ন বাজারেরর জুস বা ক্ষতিকারক খাবারের বিপরিতে bael fruit শরবত খাওয়ানো উচিত।
এছাড়াও গরমে bael fruit এর শরবত শরীর ঠান্ডা ও মন জুড়িয়ে দিতে সক্ষম। তবে খাওয়ার সময় অবশ্যই বিচি ফেলে খাওয়া উচিত কারণ বেলের বিচি পেটে প্রচুর গ্যাস জন্মায়। অনেকেই ব্লেন্ডারে দিয়ে জুস বানিয়ে খেতে পছন্দ করেন, কিন্তু বিচি না ফেলে বিচিসহ ব্লেন্ডার করে জুস তৈরী করলে হজমে সমস্যা হয়ে পেটের অসুখ হতে পারে।
আসুন এই সাধারন বেলের অসাধারন ০৫ টি গুনাগুণ জেনে নেই।
কুষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়রিয়া
bael fruit কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় নিয়মিত ৩ মাস যদি শরবত খাওয়া যায় তাহলে মল নরম হয়ে যায়। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। পাকা বেলের শাঁস বের করে চিনি দিয়ে মিশিয়ে পানি অথবা দুধে শরবৎ করে খাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও ডায়রিয়ায় কাঁচা বেল অনেক গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ। দীর্ঘ দিন ডায়রিয়া থাকলে তা কমায়। কাঁচা স্লাইস করে কেটে রোদে শুকিয়ে তা গুঁড়া করে ১ চামচ করে সুগার ও গরম পানিতে মিশিয়ে প্রতিদিন ০২ বার করে খেলে সপ্তাহের মধ্যেই ফল পাওয়া যায়।
আলসার ও লিভার
দীর্ঘ দিনের আলসার থাকলে নিয়মিত ঔষদের সাথে বেল খেলে অনেক উপকার। কারণ এর আছে প্রচুর ফাইবার যা আলসার দূর করতে সাহায্য করে। সপ্তাহে ৩/৪ দিন শরবত খেলে এবং পাতা রাতে ভিজিয়ে সকালে ভিজানো পানি খেলে আলসার কমে যায়। বেল বিটা ক্যারোটিনেরযুক্ত। যা লিভার ভালো রাখে। এতে থিয়ামিন ও রাইবোফ্লেভিন নামক দুই উপাদান লিভারের শক্তি বৃদ্ধি করে। লিভার ভালো রাখতে bael fruit সিজনে নিয়মিত এটি খাওয়া যেতে পারে।
ডায়বেটিস ও ব্লাড প্রেসার
পাকা bael fruit এ মেথানল উপাদান থাকায় ব্লাড সুগার কমাতে ভূমিকা রাখে। ভাল ফলাফল পেতে শরবত না করে পাকা bael fruit এমনিতে খাওয়া ভাল। bael fruit শরবত ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে।
যক্ষা ও ক্যানসার
পাকা bael fruit এ রয়েছে অ্যান্টি মাইক্রোবায়াল নামক উপাদান যা যক্ষ্মা কমাতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে ব্রাউন সুগারের সঙ্গে বা মধু দিয়ে বেলের শরবত বানিয়ে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে ১ থেকে দেড় মাস খেলে উপকার পাওয়া যায়। ক্যানসার একটি মহারোগ, বেল এই রোগ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। বেলে আছে অ্যান্টি প্রলেফিরেটিভ ও অ্যান্টি মুটাজেন নামক উপাদান যা টিউমার হতে প্রতিরোধ করে। আর bael fruit এ হাই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকায় ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে আনে। এছাড়াও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ত্বকের জন্য অনেক উপকার।
রক্ত শুদ্ধ ও এনার্জী বৃদ্ধি
শরীরের প্রধান উপাদান রক্ত। রক্তের মাধ্যমেই সকল পুষ্টিগুণ সব শরীরে পৌছায়। আর bael fruit এই রক্ত শুদ্ধ করে। পাকা bael fruit এর রসের সাথে হালকা চিনি মিশিয়ে খেলে তা রক্ত শুদ্ধ করে এবং এনার্জি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। bael fruit প্রচুর এনার্জী দেয়। এতে হাই প্রোটিন থাকায় পেশি দ্রুত কর্মক্ষমতা পায়।
এই আর্টিকেলের সকল তথ্যই গুগুল থেকে সংগৃহীত। এরখম তথ্যমূলক বিভিন্ন আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েব সাইট এর সাথেই থাকুন।
Please follow and like us: