ট্রাফিক আইন অনুসারে বিভিন্ন অপরাধের জন্য কত টাকা জরিমানা এবং আটক ও গ্রেফতারের আইনগত ভিত্তি কি
ট্রাফিক আইন বা সড়ক পরিবহন আইন হিসেবে যেটা আমরা জানি গত ২০১৮ সাল থেকে কার্যকর হয়েছে উক্ত ট্রাফিক আইনে ১২৬ টি ধারা রয়েছে যেগুলোতে নির্দেশনা বা সীমাবদ্ধতা, অপরাধ স্পষ্ট করা, দন্ড ও জরিমানার বিষয়ে বর্ণনা করা হয়েছে। গাড়ী/কাগজপত্র আটক ও গ্রেফতারের আইনগত ভিত্তি কি এবং ট্রাফিক আইনে বর্ণিত বিভিন্ন অপরাধের জন্য নির্ধারিত দন্ড বা জরিমানা সমূহের বিষয়ে আলোচনা করবো।
ট্রাফিক আইনে বিভিন্ন ধরনের অপরাধের বর্ণনা করা থাকলেও সচরাচর রাস্তাঘাটে পুলিশ কর্তৃক ১১ অপরাধের জন্য জরিমানা বা দন্ড দিয়ে থাকেন। উল্লেখযোগ্য ১১ টি অপরাধের বর্ণনা এবং শাস্তিসমূহের বিষয়ে নিম্নে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করা হলো।
ধারা ৬৬ : (লাইসেন্স ব্যতীত গাড়ী চালানোর জরিমানা)
ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ী চালনোর বিধি-নিষেধ সংক্রান্ত এইআইনের ৪ এবং ৫ ধারার বিধান লঙ্ঘনের দন্ড। ধারা ৪ এর ০৩ টি উপধারা রয়েছে, যথা
৪(১) কোন ব্যক্তি ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতীত, জায়গা বিশেষ শিক্ষানবিশ লাইসেন্স ব্যতীত বা মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া লাইসেন্স ব্যবহার করে জনসম্মুখে কোন ধরনের মোটর চালিত যান বা গাড়ী চালাতে পারবেন না। ৪(২) যেই ড্রাইভিং লাইসেন্স যে শ্রেণীর জন্য(হালকা/মাঝারি/ভারি) প্রদান করা হয়েছে সেই সকল গাড়ী ব্যতীত অন্য গাড়ী চালাতে পারবেন না তবে ভারী লাইসেন্সধারী ব্যক্তি অন্যান্য গাড়ী চালাতে পারবেন। ৪(৩) সরকার এই বিধির আলোকে শ্রেণী সংক্রান্ত যে কোন আদেশ জারি করতে পারবেন। তবে প্রথমবার অপরাধী হিসেবে সর্বনিম্ন ০৫ হাজার টাকা ফাইন করা হবে, একই অপরাধ পুনরায় করলে ফাইন দ্বিগুন হবে। ৩য় বার একই অপরাধ করলে সর্বোচ্চ জরিমানা করা হয়ে থাকে।
ধারা ৫ এ বর্ণনা করা আছে যে, কোন ব্যক্তি অনুমতি ব্যতীত গনপরিবহন চালাতে পারবেনা।
যদি কোনো ব্যক্তি ট্রাফিক আইনের ধারা ৪ এবং ৫ এর বিধান অমান্য করেন তবে ট্রাফিক আইনের ৬৬ ধারা মোতাবেক তা অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। এই অপরাধের জন্য অপরাধীকে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ফাইন করা যাবে বা সর্বোচ্চ ০৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করা যাবে বা উভয় দন্ডেও দন্ডিত করা যাবে।
ধারা ৭২ : (রেজিষ্ট্রেশন ব্যতীত গাড়ী চালানোর জরিমানা)
মোটরযান রেজিষ্ট্রেশন ব্যতীত মোটরযান চালনা সংক্রান্ত ধারা ১৬ এর বিধান লঙ্ঘনের দন্ড। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ১৬ এর বিধান লঙ্ঘন করেন অর্থাৎ এই আইনের ১৬(১) রেজিষ্ট্রেশন ব্যতীত মোটরযান চালানো এবং ১৬(৩) রেজিষ্ট্রেশন আছে কিন্তু তা গাড়ীতে যুক্ত না করে বা প্রদর্শন ছাড়া চালানো হয় তবে তা ট্রাফিক আইনের ৭২ ধারা মোতাবেক শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গন্য হবে এবং শাস্তিস্বরূপ সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা ০৬ মাসের কারাদন্ড বা উভয় দন্ডেও দন্ডিত করা যাবে। তবে প্রথমবার অপরাধী হিসেবে ফাইন করা হলে সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা ফাইন করা হবে, একই অপরাধ পুনরায় করলে জরিমানা দ্বিগুন হবে। ৩য় বার একই অপরাধ করলে সর্বোচ্চ জরিমানা করা হয়ে থাকে।
ধারা ৭৫ : (ফিটনেস ব্যতীত গাড়ী চালানোর জরিমানা)
মোটরযানের ফিটনেস সনদ ছাড়া বা মেয়াদ উত্তীর্ন ফিটনেস সনদ ব্যবহার করে, আনফিটগাড়ী বা ফিটনেসের উপযোগী নয় এমন গাড়ী বা ঝুঁকিপূর্ণ গাড়ী চালানো সংক্রান্তে ট্রাফিক আইনের ২৫ ধারা লঙ্ঘন তাহলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গন্য হবে এবং এর শাস্তিস্বরূপ অপরাধীকে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ফাইন করা যাবে বা সর্বোচ্চ ০৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করা যাবে বা উভয় দন্ডেও দন্ডিত করা যাবে।
ধারা ৭৬ : (ট্যাক্স টোকেন ব্যতীত গাড়ী চালানোর জরিমানা)
এই আইনের ২৬ ধারার বিধান লঙ্ঘন করেন অর্থাৎ ট্যাক্স-টোকেন ব্যতীত বা মেয়াদ উত্তীর্ণ ট্যাক্স-টোকেন ব্যবহার করে গাড়ী চালানো সংক্রান্ত অপরাধ করলে সর্বোচ্চ ১০ (দশ) হাজার টাকা পর্যন্ত ফাইন করা যাবে। এক্ষেত্রে কোন কারাদন্ডের বিধান রাখা হয়নি।
ধারা ৭৭ : (রুট পারমিট ব্যতীত গাড়ী চালানোর জরিমানা)
এই আইনের ২৮(১) ধারা অমান্য করেন অর্থাৎ রুট পারমিট ছাড়া জনসম্মুখে পরিবহন মোটরযান ব্যবহার করেন তাহলে তিনি অপরাধী হিসেবে গন্য হবেন এবং এইজন্য অপরাধীকে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা ফাইন করা যাবে বা ০৩ মাসের কারাদন্ড প্রদান করা যাবে অথবা উভয় দন্ডও প্রদান করা যেতে পারে।
ধারা ৮৪ : (গাড়ীর কারিগরি, অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক পরিবর্তন বা সংযোজন করার জরিমানা)
ট্রাফিক আইনের ৪০ ধারার বিধান লঙ্ঘন করলে অর্থাৎ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্ধারিত ধরন ব্যতীত গাড়ীর কোন অংশের কারিগরি, অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংযোজন, হর্ণ এর ধরন পরিবর্তন, ধোয়া র্নিগমন ব্যবস্থা পরিবর্তন বা সংযোজন বা গাড়ীর যে কোন অংশের কারিগরি, অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক পরিবর্তন বা সংযোজন করেন তাহলে এটি অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এর জন্য সর্বোচ্চ ০৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ফাইন বা ০১ বছর কারাদন্ড অথবা উভয় দন্ড প্রদান করা যেতে পারে।
ধারা ৮৬ : (অতিরিক্ত ওজন বহন করলে জরিমানা)
ট্রাফিক আইনের ৪৩ ধারা অমান্য করলে অর্থাৎ সড়ক মহাসড়কের নির্ধারিত ওজন এর অতিরিক্ত ওজন গাড়ীতে বহন করলে শাস্তিস্বরূপ ০১ লক্ষ টাকা জরিমানা বা ০১ বছর কারাদন্ড অথবা উভয় দন্ড দেওয়া যেতে পারে এমনকি এই অপরাধের জন্য চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ২ পয়েন্ট কর্তন করা হবে।
ধারা ৮৭ : (ওভার স্পিডে গাড়ী চালানোর জরিমানা)
ট্রাফিক আইনের ৪৪ ধারার বিধান লঙ্গন করলে অর্থাৎ সড়ক মহাসড়কের নির্ধারিত গতিসীমা অমান্য করে গাড়ী চালালে, বিপদজনকভাবে ওভারটেকিং করলে এবং যানচলালে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ফাইন বা ০৩ মাসের কারাদন্ড অথবা উভয় দন্ড দেওয়া যেতে পারে। এমনকি চালকের দোষসূচক হিসেবে ০১ পয়েন্ট কর্তন করা হবে।
ধারা ৮৮ : (হর্ণ ব্যবহারের বিধান অমান্য করলে ফাইন)
ট্রাফিক আইনের ৪৫ ধারার উপ-ধারা (২) সরকার নির্ধারিত মাত্রার শব্দের চেয়ে অতিরিক্ত মাত্রার শব্দ সৃষ্টি করলে, (৩) সরকার ঘোষিত নীরব এলাকা বা হর্ণ নিষিদ্ধ এলাকায় হর্ণ বাজালে বা শব্দযন্ত্র ব্যবহার করে শব্দ সৃষ্টি করলে, এবং (৪) সরকার নির্ধারিত মাত্রার শব্দের চেয়ে অতিরিক্ত মাত্রার শব্দযন্ত্র ব্যবহার করলে বা উচ্চ মাত্রার শব্দ সৃষ্টিকারি কোন যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা বা গাড়িতে যুক্ত করলে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা ফাইন বা ৩ মাসের কারাদন্ড অথবা উভয় দন্ড প্রদান করা যাবে। এছাড়াও চালকের ০১ পয়েন্ট কর্তন করা হবে।
ধারা ৮৯ : (পরিবেশ দূষণকারী ও ঝুঁকিপূর্ণ মোটরযান চালানোর ফাইন)
ট্রাফিক আইনের ৪৬ ধারার বিধান অমান্য করলে অর্থাৎ ৪৬(২) পরিবেশ দূষণকারী ধোয়া র্নিগমন হলে, ৪৬(৩) পরিবেশ দূষণকারী যন্ত্রাংশ ব্যবহার করলে, ৪৬(৪) ঝুঁকিপূর্ণ বা অনুপযোগী মোটরযান চালানো হলে অপরাধ হিসেবে গন্য করা হবে। ৪৬(২) ও ৪৬(৩) এর জন্য সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা বা ০৩ মাসের কারাদন্ড বা উভয় দন্ড প্রদান করা যাবে। এছাড়াও চালকের দোষ হিসেবে ০১ পয়েন্ট কর্তন করা যাবে। ৪৬(৪) এর অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা ফাইন বা ০৩ মাসের কারাদন্ড বা উভয় দন্ড প্রদান করা যাবে। এছাড়াও চালকের দোষ হিসেবে ০১ পয়েন্ট কর্তন করা যাবে।
ধারা ৯২ : (সাধারন বিভিন্ন নিয়ম অমান্য করার জরিমানা)
ট্রাফিক আইনের ৪৯ ধারার বিধান লঙ্ঘন করেন অর্থাৎ ৪৯ এর
প্রথম অংশ
(ক) যেকোন ধরনের নেশা সেবন/গ্রহন করে গাড়ী চালান
(খ) যেকোন ধরনের নেশা সেবন/গ্রহন করে কন্ডাক্টর বা মোটরযান শ্রমিক গাড়ীতে অবস্থান করেন
(গ) চালক হিসেবে কন্ডাক্টর বা মোটরযান শ্রমিককে গাড়ী চালানোর জন্য গাড়ী হস্তান্তর করলে
(ঘ) বিপরীত দিক থেকে বা উল্টো রাস্তায় গাড়ী চালানো
(ঙ) নির্ধারিত স্থান ছাড়া wrong side গাড়ী থামিয়ে যানজট বা অন্য গাড়ীর চলাচলে প্রদিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে
(চ) ড্রাইভার ছাড়া মোটরসাইকেলে একজনের অতিরিক্ত যাত্রী বহন করলে এবং উভয়ের সঠিকভাবে হেলমেট না থাকলে
(ছ) গাড়ী চলন্ত অবস্থায় চালক বা কন্ডাক্টর বা অন্য কোনো ব্যক্তি কর্তৃক যাত্রীকে গাড়ীতে উঠা-নামা করলে
(জ) প্রতিবন্ধী যাত্রীর জন্য সুযোগ-সুবিধা না রাখলে
(ঝ) গাড়ীর সামনে-পিছনে, যেকোন পার্শ্বে, ছাদে কোনো যাত্রী/পণ্য/মালামাল বহন করলে
(ঞ) অনুমোদন ছাড়া কোনো গাড়ীতে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন বা প্রচার করলে
(ট) রাস্তার কোন অংশে গাড়ী মেরামতের জন্য যন্ত্রাংশ/মালামাল ফেলে রাখলে, কোনভাবে যান/মানুষ চলাচলে বাধা সৃষ্টি করলে
(ঠ) সড়ক সংলগ্ন ফুটপাত ব্যবহার করে গাড়ী চলাচল করলে
(ড) কোনো ব্যক্তি গাড়ীর মালিকের অনুমতি ছাড়া গাড়ী চালিয়ে একস্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়া
(ঢ) আইনানুগ কর্তৃপক্ষ বা যুক্তিযুক্ত কারণ ছাড়া কোনো ব্যক্তি দাঁড়িয়ে থাকা কোনো গাড়ীতে প্রবেশ/আরোহন করলে
সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা ফাইন বা ০৩ মাসের কারাদন্ড বা উভয় দন্ড প্রদান করা যাবে। এছাড়াও ০১ পয়েন্ট কর্তন করা যাবে। প্রথমবার অপরাধের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৩ হাজার টাকা করা হতে পারে। ২য় বার দ্বিগুন এবং ৩য় বার একই অপরাধ করলে সর্বোচ্চ জরিমানা করা হয়ে থাকে।
দ্বিতীয় অংশ
(ক) গাড়ী চালানো অবস্থায় মোবাইল বা এমন কোন সরঞ্জাম ব্যবহার করলে
(খ) সিটবেল্ট নাবাঁধা অবস্থায় গাড়ী চালানো
(গ) কোনো যাত্রী চলন্ত গাড়ীর চালকের মনযোগে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে বা অসুবিধা হয় এমন কোন কাজ/আচরণ করে
(ঘ) মহিলা/শিশু/প্রতিবন্ধী এবং বৃদ্ধের জন্য রক্ষিত আসনে অন্য কোনো যাত্রী বসলে
(৩) যাত্রীর সিটবেল্ট বাঁধা সংক্রান্ত নিয়ম-নীতি অনুসরণ না করলে
(চ) দূরপাল্লার গাড়ীতে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করলে
(ছ) চালক/কন্ডাক্টর/গাড়ী পরিচালনার সাথে সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তি যাত্রীর সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ বা হয়রানি করলে
(জ) বিপরীত দিক আসা গাড়ী চালানোতে বিঘ্ন সৃষ্টি হয় এমন কোন লাইট ব্যবহার করলে
সর্বোচ্চ ০৫ হাজার টাকা ফাইন বা ০১ মাসের কারাদন্ড বা উভয় দন্ড প্রদান করা যাবে। এছাড়াও ০১ পয়েন্ট কর্তন করা যাবে।
ধারা ১০২ : (পুলিশের আদেশ পালনে সহযোগীতা এবং ভুল তথ্য প্রদান করার ফাইন)
ট্রাফিক আইনের ১১৮ ধারা মোতাবেক কোন ড্রাইভার বা গাড়ীর মালিক পুলিশ বা এই আইনের অধীনে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার আদেশ পালনে বা তথ্য প্রদানে অনিহা বা সহযোগীতা করেন বা ভুল তথ্য প্রদান করেন তাহলে তাকে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা ফাইন বা ০১ মাসের কারাদন্ড বা উভয় দন্ড প্রদান করা যেতে পারে।
জরিমানার বিরুদ্ধে আপীল করার সুযোগ আছে কি ?
কোন ব্যক্তি উল্লেখিত জরিমানার বিষয়ে যদি মনে করেন তার প্রতি অতিরিক্ত আইন প্রয়োগ হয়েছে তাহলে তিনি জরিমানার আদেশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে আপীল করতে পারবেন। এই আইনের ১০৭ ধারায় এর সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
গাড়ী থামাতে এবং কাগজপত্র যাচাইয়ের ভিত্তি কি ?
একজন পুলিশ অফিসারের চাহিদা মোতাবেক যেকোন চালক গাড়ী থামাতে এবং কাগজপত্র প্রদর্শনে বাধ্য, যা এই আইনের ১০৯ ধারা মোতাবেক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ট্রাফিক আইনের ক্ষমতাবলে ওয়ারেন্ট বা পরোয়ানা ছাড়া গ্রেফতার করার সুযোগ আছে কিনা ?
কোনো পুলিশ অফিসারের সামনে এই আইনের ৭২, ৭৩, ৭৫, ৭৭, ৭৯, ৮৪, ৮৬, ৮৯, ১২(১), ১৮ বা ১০৫ ধারার কোন অপরাধ সংঘটিত হয় তাহলে উক্ত পুলিশ অফিসার ব্যক্তিকে বিনা পরোয়ানা/ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করতে পারবেন। সড়ক পরিবহন আইনের ১১০ ধারায় এই ক্ষমতা রয়েছে।
পুলিশ কর্তৃক গাড়ীর কাগজপত্র আটকের ক্ষমতা আছে কিনা ?
সাব-ইন্সপেক্টর বা সার্জেন্ট পদমর্যাদার বা তদূর্ধ্ব পুলিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ গাড়ীর যে কোন ধরনের কাগজপত্র আটক করতে পারেন। সড়ক পরিবহন আইনের ১১১ ধারায় পুলিশকে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এমনকি রেজিস্ট্রেশন বা ফিটনেস সনদ বা রুট পারমিট ব্যতীত মোটরযান চলনার জন্য গাড়ীও আটক করতে পারেন যা এই আইনের ১১২ ধারায় পুলিশকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
কাগজপত্রের বিভিন্ন সংকেত গুলো কি যেগুলো মামলায় উল্লেখ করা হয় ?
০১। R/C রেজিষ্ট্রেশন সার্টিফিকেট
০২। I/C ইন্সুরেন্স সার্টিফিকেট
০৩। T/T ট্যাক্স টোকেন
০৪। D/L ড্রাইভিং লাইসেন্স
০৫। F/C ফিটনেস সার্টিফিকেট
০৬। R/P রুট পারমিট
সড়ক পরিবহন আইন বা Traffic আইনের সম্পূর্ণ আইনটি সম্পর্কে জানতে এবং প্রচলিত বিভিন্ন আইন এর পিডিএফ কপি পেতে ভিজিট করুন আইন ও বিধি।